প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কাঁঠালবাড়িতে অনুষ্ঠেয় জনসভায় ১০ লক্ষাধিক লোকের উপস্থিতি প্রত্যাশা করছে আওয়ামী লীগ। ওই জনসভা সফল করতে বুধবার (১ জুন) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সমন্বয় বৈঠকে নেতারা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।'
-বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী ২৫ জুন আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের কোনও শেষ নেই। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনকে ঘিরে সারা দেশে মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ব্যাপক। এটি কীভাবে উদযাপিত হবে সেটি নিয়ে আমরা আজকের বৈঠকে প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছি।
'তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আমাদের জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি সকাল ১১টায় শুরু হবে পদ্মার পাড়ে কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে। আমরা এই জনসভা সফল করতে চাই। এই জনসভাকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা ও ঢাকার আশপাশের মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি হবে। এই জনসভা সফল করতে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আমাদের নেত্রীর যে জনসভাটি হবে, সেখানে লাখো মানুষের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে একটি বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এই জনসমুদ্র হবে উৎসবের জনসমুদ্র।'
* এক প্রশ্নের জবাবে নাছিম বলেন, ‘পদ্মা সেতু সারা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা। এটা নিয়ে যদি কেউ কোনও নীলনকশা করে থাকে, তাহলে দেশের জনগণই তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে এবং প্রতিহত করবে। কেউ এটি নিয়ে কোনও ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।
* জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আমাদের জন্য খুবই আনন্দের ব্যাপার। আমরা জানি এর গুরুত্ব কতটুকু। পদ্মা সেতু আমাদের দক্ষিণবঙ্গের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির শেকড়। সেতুর কারণে আমাদের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে। এর উদ্বোধন আমাদের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
/ 'আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন': অনুষ্ঠেয় জনসভায় ১০ লক্ষাধিক লোক উপস্থিতির প্রত্যাশা আ.লীগের /
'আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা ও তার আশপাশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষজন আসবে। এছাড়া বরিশাল বিভাগ থেকে আমাদের লোকজন আসবে। আমরা জনসভার আগে দক্ষিণাঞ্চলের জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে মিটিং করবো।'
-বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।